বছর ঘুরে আবার দেখা মিলছে আমের। আমের নাম শুনেই জিহ্বায় জল আসেনা এমন মানুষের দেখা পাওয়া খুব কঠিন, আর স্বাদের কথা কি বলব? কেউ কেউ তো এক ডিগ্রি উপরে গিয়ে বলে ফেলেন আমকেই দেশের জাতীয় ফল হিসেবে ঘোষণা করতে। কাঁচা আম যেমন রান্না করে খেতে মজা, তেমনই মধুময় পাকা আমের স্বাদ। তবে মধুময় ফলটি শুধু স্বাদে নয় গুনেও অনন্য। কাঁচা পাকা আমের পাশাপাশি এই গাছের পাতারও আছে বেশ কিছু গুনাগুন। আসুন জেনে নেই তা-
* আমের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কিনা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। স্তন, লিউকেমিয়া, কোলন সহ প্রোস্টেট ক্যান্সারকেও প্রতিরোধে সহায়তা করে আম। এতে প্রচুর এনজাইমও পাওয়া যায়।
* অনেকেই বলেন যে আম খেলে ওজন বাড়ে। তা হয়তো কিছুটা বাড়তেই পারে তবে ওজন বাড়ানোর জন্য খেতে হবে বেশি পরিমানে আম। মজার ব্যাপার হল ওজন বাড়লেও কোলেস্টোরল কমে যায় আম খেলে। আমে আছে উচ্চ পরিমানে ভিটামিন সি, সেই সাথে আরো আছে ফাইবার ও ফলের শাঁস যা সিরাম কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়, বিশেষ করে রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টরল যেমন কম ঘনত্বের লাইপোপ্রটিন এর মাত্রা কমাতে সাহায্য।
* সেই সাথে ত্বকের যত্নেও অনেক উপকারি এই মজাদার ফলটি। ভেতর ও বাইরে থেকে উভয়ভাবেই ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে আম। ত্বকের লোমের গোড়া পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে আম, ফলে ব্রনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
* আম চোখের জন্যও অনেক উপকারী। আপনি কি জানেন যে এক কাপ আম আপনার দৈনন্দিনের ভিটামিন এ এর চাহিদার প্রায় পঁচিশ শতাংশের যোগান দিতে পারে? ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী। এটি চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং রাতকানা রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করে।
* সেই সাথে এই ফলে পাওয়া যায় টারটারিক এসিড, ম্যালিক এসিড ও সাইট্রিক এসিড যা শরীরে অ্যালকালাই বা ক্ষার ধরে রাখতে সহায়তা করে অনেকাংশেই।
* মজার কথা হল ডায়াবেটিকস রোগীদের আম খেলে সুগার বেড়ে যাবার প্রবণতা থাকলেও আম গাছের পাতা কিন্তু রক্তে চিনির পরিমান কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। এজন্য কিছু আম পাতা নিয়ে ভাল করে পানিতে জ্বাল দিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরদিন সকালে উঠে এই পানি পান করুন। ব্যাস এইটুকুই সাহায্য করবে রক্তে চিনির পরিমান ঠিক রাখতে।
* অনেকের এই ধারনা আছে যে, ফলমূলের মাঝে শুধুমাত্র পেঁপেই হজমশক্তির জন্য ভাল। কিন্তু না,পেঁপের মত আমেও আছে প্রয়োজনীয় এনজাইম যা শরীরের প্রোটিন অণুগুলো ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করে যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
* এছাড়াও আমে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। সেই সাথে আছে প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনোইডস যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে রাখবে সুস্থ ও সবল।
শুধু স্বাদেই মজাদার নয় বরং স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী আমাদের এই প্রিয় ফল আম। কাঁচা বা পাকা সব রকমের আম আপনাকে দিবে স্বাদের পাশাপাশি সুস্থ থাকার নিশ্চয়তা। তবে এর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে বুঝে শুনে। না হলে ভালোর থেকে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি হবে।
চলছে আমের মৌসুম। নিজের শরীরের সুস্থতার দিকে নজর রাখতে এই মৌসুমে বেশি করে আম খেতে পারেন। তরকারি হিসেবে কাঁচা আমের গ্রহণযোগ্যতা যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে পাকা আমের কদর।
কাঁচা অথবা পাকা যাই হোক না কেন আম আপনার শরীরকে সুস্থ রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করবে। জেনে নিন আমের উপকারিতা।
আমের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। স্তন, লিউকেমিয়া, কোলনসহ প্রোস্টেট ক্যান্সারকেও প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে আম।
আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। এমন কী পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমে ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে থাকে। এতে প্রচুর এনজাইমও পাওয়া যায়। ত্বকের যত্নেও আম অনেক উপকারী। আম খেলে লোমের গোড়া পরিষ্কার হয়। ফলে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
আমে রয়েছে ভিটামিন এ যা চোখের দৃষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে। রাতকানা রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সেই সাথে রয়েছে মালিক অ্যাসিড, সাইট্রিক অ্যাসিড, টারটারিক অ্যাসিড যা শরীরে ক্ষার ধরে রাখে। আমে রয়েছে প্রচুর এনজাইম যা শরীরের প্রোটিনের অণুগুলো ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। যার ফলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়।
তাই বেশি করে আম খান। নিজের শরীরকে সুস্থ রাখুন।
মওসুম এখন আমের। ফলের রাজা হিসেবে পরিচিত এই আম কাঁচা-পাকা উভয় অবস্থায়ই শরীরের উপকার করে। শুধু ফল নয়, গাছের পাতারও আছে বেশ কিছু গুণাগুণ। আমের মধ্যে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। স্তন, লিউকেমিয়া, প্রোস্টেট ক্যান্সারও প্রতিরোধে সহায়তা করে আম। এতে রয়েছে প্রচুর এনজাইমও। অনেকেই বলেন, আম খেলে ওজন বাড়ে। তা হয়তো কিছুটা বাড়তেই পারে। তবে ওজন বাড়ানোর জন্য খেতে হবে বেশি আম। ওজন বাড়লেও কোলেস্টেরল কমে যায় আম খেলে। আমে আছে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি, সেই সাথে আরো আছে ফাইবার ও ফলের শাঁস, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ত্বকের যতেœও অনেক উপকারি এই মজাদার ফলটি। ভেতর ও বাইরে থেকে উভয়ভাবেই ত্বককে সুন্দর রাখতে সাহায্য করে আম। ত্বকের লোমের গোড়া পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ফলে ব্রনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আম চোখের জন্যও অনেক উপকারী। এক কাপ আম একজনের দৈনন্দিনের ভিটামিন এ-এর চাহিদার প্রায় ২৫ শতাংশের জোগান দিতে পারে। এই ফলে পাওয়া যায় টারটারিক এসিড, ম্যালিক এসিড ও সাইট্রিক এসিড, যা শরীরে অ্যালকালাই বা ার ধরে রাখতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীদের আম খেলে সুগার বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকলেও আমগাছের পাতা কিন্তু রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে। এ জন্য কিছু আমপাতা নিয়ে ভালো করে পানিতে জাল দিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরদিন সকালে উঠে এই পানি পান করুন। ব্যাস এই টুকুই সাহায্য করবে রক্তে চিনির পরিমাণ ঠিক রাখতে।
dailynayadiganta.com
কাঁচা আমের উপকারিতা-যা শুধু আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। তো দেরি কিসের??????
কাঁচা আম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। অনেক ক্ষেত্রে পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমের গুণ আরও বেশি। কাঁচা আমের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই। সত্যিই অবাক হইবেন কিন্তু সবাই ।
জেনে নিন কাঁচা আমের গুণাগুণ-যা শুধু আপনার জন্য অপেক্ষা করছে:
শরীরের রক্ত পরিস্কার রাখে
কাঁচা আম স্মৃতিশক্তি বাড়ায়
ক্যারোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ কাঁচা আম চোখ ভালো রাখতে সেরকম ভূমিকা রাখে
বিটা ক্যারোটিন থাকায় হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে্ আপনাকে খুব সাহায্য করবে
পটাশিয়ামের অভাব পূরণ করবে
কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্তসল্পতা সমস্যা সমাধানে বড়ই উপকারী
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় গরমে ঠাণ্ডা জতীয় রোগ প্রতিরোধ করবে
কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ সহায়তা করবে
লিভার সুস্থ রাখবে
নিঃশ্বাসের সমস্যা, জ্বরের সমস্যা উপশম করবে
অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করবে
ত্বক উজ্জ্বল ও মলিন করবে
দাঁতের রোগ প্রতিরোধ করবে
ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্টকাঠিন্য দূর করবে
এছাড়া ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
চাঁপাইয়ে এখন কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে। এমন কি পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমে ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে থাকে।বেশি বেশি কাঁচা আম খেয়ে, শরীরের বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন। চলে আসুন আমার ভোলাহাটে। আ্মের রাজ্যে। অপেক্ষা করছি আপনার জন্যই শুধু। মিস করলেন তো, জীবনটাই……………..আর কহোবনা।
ব্লগার লগ ইন
ব্লগ পুঞ্জিকা
ব্লগ ট্যাগ
আরও পড়ুন
-
আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেও দেখা নেই আমের মুকুলের
-
আমের মুকুল ঝরা সমস্যা ও করণীয় 2020
-
এবছর আম বিক্রি বাড়বে অনলাইনে
-
চাঁপাইয়ে হচ্ছে বিশেষায়িত আম বাজার
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ব্যানানা আম-জাতটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে
-
গৌড়মতি আমের সম্ভাবনা ও সচ্ছলতার গল্প
-
বরিশালে দখিনা আমের মেলা
-
আম গাছের অঙ্গ ছাটাই করলে ফলন বাড়বে কয়েক গুনঃ জেনে নিন কাটিং পদ্ধতি
-
শীতেও বগুড়ায় গাছে ঝুলছে কাঁচা-পাকা আম ও মুকুল
-
পুষ্টিমান অক্ষুণ্ন রেখে আম প্রক্রিয়াজাতকরণ
-
আম ও আমতলা নিয়ে মুর্শিদাবাদের গ্রাম্য জীবন
-
আমে ব্যবহৃত সম্ভাব্য রাসায়নিক দ্রব্য
-
ফরমালিনের নামে আম ধ্বংস করা ছিল ভুল
-
বিশ্বে আম উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান নবম
-
৫ কেজি ওজনের আম কোথায় পাবেন
-
এক গাছেই লাখ টাকার আম!
-
মৌসুমের শুরুতে আম গাছে করনীয়
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম প্রক্রিয়াজাতকরণ শীর্ষক কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ
-
পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নত জাতের আমের চাষ
-
শিবগঞ্জে রাসায়নিক মুক্ত আম উৎপাদনে প্রশিক্ষণ শুরু
-
কালীগঞ্জে আম চাষ করে ভাগ্য ফেরাতে চায় আলমগীর
-
আমের সময়ে আমের দেশে
-
রংপুর অঞ্চলে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ হাঁড়িভাঙা আম
-
মুকুলের সমারোহ আশা জাগাচ্ছে যশোরের চাষিদের
-
এবছর রাজশাহীর আমের বাজারজাত ও দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা
-
খুলনার বাজারে আম মাল্টা ও আঙুর নিরাপদ নয়
-
চিনে নিন ফরমালিনমুক্ত আম
-
শরীর সুস্থ রাখতে গরমে চুটিয়ে খান কাঁচা আম
-
আম খেতে কানসাট
-
বঙ্গভবনে যুক্ত হল হাড়িভাঙ্গা ও সূর্যপূরী আম গাছ
-
পাহাড়ি এলাকায় মিশ্র ফলের বাগান
-
আমের আঁটির উপকারিতা
-
আমের মুকুল দেরিতে এলেও ফলনে প্রভাব পড়বে না চাঁপাইনবাবগঞ্জ
-
জমির উদ্দিন স্যারের : রপ্তানিযোগ্য আমের উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় ও সম্ভাবনা
-
ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে আম
-
হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে আম-লিচুর মুকুলের ক্ষতি
-
এবার আমের উৎপাদন বাড়বে দেড় লাখ টন
-
আমের মুকুলের সমারোহ
-
ফাল্গুনের হঠাৎ বৃষ্টি,কক্সবাজারে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
-
আম গাছের দৈহিক বিকৃতি রোগের খুটিনাটি
-
আমের মতো এমন মজাদার ফল আর আছে নাকি!
-
এক বসাতে ১০০ ল্যাঙড়া আম খেয়েছি – লোটাস কামাল
-
আমের হরেক পদ
-
বারি-১৩ আম
-
মুকুল আসছে, তবে আগা শুকিয়ে ডাল মরে যাওয়ার ঝুঁকিতে আম গাছ। কি করবেন?
-
ল্যাংড়ার স্বাদে গৌড়মতি
-
বগুড়ায় দুই টাকা কেজি আম
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম আছে ক্রেতা নেই
-
নতুন জাতের অমৌসুমি আম উদ্ভাবন
-
বিশেষ উপায়ে পাকানো কাঁচা আমে বাজার সয়লাব
সর্বশেষ মন্তব্য
-
আর খাইয়েন না। এক লাখ পুরা হলেই আজরাইল এসে ধরবে।
Written by মিজানুর on Friday, 29 May 2020 16:47 এক বসাতে ১০০ ল্যাঙড়া আম খেয়েছি – লোটাস কামাল -
Nice post, very interesting. Good work , If you have…
-
এই আম কোন মাসে পাকে
-
I have two drafting mango tree.May be 3 years old.But…
-
I have two drafting mango tree.May be 3 years old.But…
-
How can this be done?
-
মনজুরুল হক ভাইয়ের নাম্বারটা দেবেন
-
হিমসাগর কত করে??
-
5kg am lak ba gser
-
আঁচার আমার খুব পছন্দের। আমি একদিন এটা বানিয়ে নিব। ধন্যবাদ।
-
খুব ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ লেখককে।
-
ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে আপনার জার্নির কথা শুনে... আর আমরা ঘরে…
-
চিন্তা করা যায়??
-
কৃষি কর্মকর্তারা কি বেতন খাচ্ছে আর ঘুমা্চ্ছে....
-
আমার বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুরে.. আমি কি আম চাষ করতে পারবো?
